news@weeklyinqilab.com|| 86-11 101 AVENUE, OZONE PARK, NY, 11416, USA
ব্রেকিং:

যুক্তরাষ্ট্র

ওষুধের দাম কমাতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার সাথে চুক্তির উদ্যোগ ট্রাম্পের

Next.js logo

প্রকাশিত:

৪ ঘন্টা আগে

নিউজটি শেয়ার করুন:

আবু জাফরঃ যুক্তরাজ্যভিত্তিক ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকার সাথে যুক্তরাষ্ট্রের একটি চুক্তি হয়েছে বলে গতকাল শুক্রবার (১০ অক্টোবর) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন। ওই চুক্তির আওতায় অ্যাস্ট্রাজেনেকা মার্কিন সরকারের মেডিকেড স্বাস্থ্য কর্মসূচির জন্য কিছু ওষুধ ছাড়মূল্যে বিক্রি করবে। এর বিনিময়ে কোম্পানিটি যুক্তরাষ্ট্রে শুল্ক ছাড় পাবে।

Thumbnail for ওষুধের দাম কমাতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার সাথে চুক্তির উদ্যোগ ট্রাম্পের
ইনকিলাব

গত সপ্তাহে ওষুধ কোম্পানি ফাইজারের সাথে মার্কিন সরকারের ওষুধের মূল্যসংক্রান্ত চুক্তির মতোই এটি একটি সমঝোতা।

এ ধরনের চুক্তির মাধ্যমে হোয়াইট হাউস এমন একটি কাঠামো তৈরি করছে, যা ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রে ওষুধের দাম কমানোর চেষ্টা করবে। ট্রাম্প গত জুলাই মাসে ১৭টি শীর্ষ ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানিকে চিঠি পাঠিয়ে ওষুধের দাম কমানোর আহ্বান জানান। ফাইজার ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা হলো প্রথম দুটি কোম্পানি, যারা এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে সরকারের সাথে চুক্তিতে পৌঁছেছে।

অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রধান নির্বাহী প্যাসকেল সোরিয়ট ওভাল অফিসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বলেন, আগামী বছর চালু হতে যাওয়া ‘ট্রাম্পআরএক্স’ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কোম্পানিটি তাদের কিছু ওষুধ সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ পর্যন্ত কম দামে বিক্রি করবে।

সোরিয়ট আরও বলেন, কোম্পানিটি তাদের বাকি পণ্যগুলো স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করার জন্য তিন বছরের শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে।

গত মাসে ট্রাম্প ওষুধ কোম্পানিগুলোর ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন। ওষুধের দাম কমাতে এবং যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদনকেন্দ্র স্থানান্তরের বিষয়ে ওষুধ কোম্পানিগুলোকে রাজি করাতে এ হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি ফাইজারের সাথে চুক্তির পর কয়েকজন লবিস্ট ও নির্বাহী কর্মকর্তা রয়টার্সকে এ তথ্য দেন।
যুক্তরাষ্ট্রের রোগীরা বর্তমানে চিকিৎসাপত্রে লিখে দেওয়া ওষুধ কিনতে গিয়ে অন্য উন্নত দেশগুলোর তুলনায় প্রায় তিন গুণ বেশি খরচ করছেন। ওষুধের দাম কমিয়ে অন্য দেশের সমতুল্য পর্যায়ে আনার জন্য ট্রাম্প ওষুধ কোম্পানিগুলোকে চাপ দিচ্ছেন। না হলে কঠোর শুল্কের মুখোমুখি হতে হবে বলে হুমকি দিয়েছেন তাঁরা।

গত মাসে ট্রাম্প ওষুধ কোম্পানিগুলোর ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন। ওষুধের দাম কমাতে এবং যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদনকেন্দ্র স্থানান্তরের বিষয়ে ওষুধ কোম্পানিগুলোকে রাজি করাতে এ হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি ফাইজারের সাথে চুক্তির পর কয়েকজন লবিস্ট ও নির্বাহী কর্মকর্তা রয়টার্সকে এ তথ্য দেন।

মেডিকেড হলো নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য রাষ্ট্র এবং ফেডারেল সরকারের একটি স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচি। সাত কোটির বেশি মানুষ এ কর্মসূচির আওতায় সেবা নিয়ে থাকে। এই কর্মসূচিতে ওষুধের খরচ মেডিকেয়ারের তুলনায় অনেক কম। মেডিকেয়ার কর্মসূচির আওতায় ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী মানুষ বা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সেবা দেওয়া হয়ে থাকে। শুক্রবারের ঘোষণায় এ ধরনের মানুষদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

২০২১ সালে ওষুধ বাবদ মেডিকেয়ারের খরচ ছিল ২১ হাজার ৬০০ কোটি ডলার। আর মেডিকেডের মোট খরচের পরিমাণ প্রায় আট হাজার কোটি ডলার।

অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রধান নির্বাহী প্যাসকেল সোরিয়ট ওভাল অফিসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বলেন, আগামী বছর চালু হতে যাওয়া ‘ট্রাম্পআরএক্স’ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কোম্পানিটি তাদের কিছু ওষুধ সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ পর্যন্ত কম দামে বিক্রি করবে।

নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেলগ স্কুল অব ম্যানেজমেন্টের অধ্যাপক ক্রেইগ গারথওয়াইট বলেন, ‘মেডিকেড কর্মসূচি ইতিমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে কম দামে ওষুধ পায়। তাই নতুন করে তাদের যে সাশ্রয় হবে, তার পরিমাণ সীমিত থাকবে।’

গারথওয়াইট আরও বলেন, ‘অ্যাস্ট্রাজেনেকার ওষুধের তালিকা দেখলে মনে হয় না যে মেডিকেডকে বড় ধরনের ছাড় দেওয়ার মতো তাদের যথেষ্ট ওষুধ আছে।’

বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক রেনা কন্টি মনে করেন, ‘ফাইজারের মতো চুক্তি করার মধ্য দিয়ে অ্যাস্ট্রাজেনেকা তাদের ওপর শুল্কের চাপ কমাতে পারে ঠিকই; তবে এতে যুক্তরাষ্ট্রে স্বাস্থ্যবিমার ক্রমবর্ধমান খরচ বা ব্যক্তিগত ওষুধের খরচ কমবে না।’

অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সোরিয়ট তাঁর কোম্পানিকে ওয়াশিংটনের কাছাকাছি রাখতে কাজ করছেন। আবার একই সাথে কোম্পানিকে সম্প্রসারণের কৌশলও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

অ্যাস্ট্রাজেনেকা গত জুলাই মাসে ঘোষণা দিয়েছিল, তারা ২০৩০ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন, গবেষণা ও উন্নয়নে পাঁচ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে। কোম্পানিটি ভার্জিনিয়ায় যে উৎপাদন কেন্দ্র তৈরি করবে, তা হবে বিশ্বে তাদের সবচেয়ে বড় উৎপাদনকেন্দ্র। যুক্তরাষ্ট্রের আরও পাঁচটি অঙ্গরাজ্যে তাদের কারখানা সম্প্রসারণ করা হবে।

গত সেপ্টেম্বরে কোম্পানিটি ঘোষণা করেছে, যুক্তরাষ্ট্রের রোগীদের কাছে ডায়াবেটিস ও অ্যাজমার ওষুধ তালিকা মূল্য থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ে বিক্রি করবে তারা । তবে এ ক্ষেত্রে রোগীকে নগদ অর্থ পরিশোধ করতে হবে। ট্রাম্পের চাপের পর এমন ঘোষণা দেয় তারা।

বিজ্ঞাপন কর্নার

আমাদের সম্পর্কে

সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতিঃ শাহ নেওয়াজ

উপদেষ্টা সম্পাদকঃ পাভেল মাহমুদ

ইংরেজি পাতার সম্পাদকঃ ফুহাদ হোসেন

ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ মোঃ বদরুদ্দোজা সাগর

প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোহাম্মদ জাহিদ আলম

স্টেশন ইনচার্জঃ মো: মিদুল ইসলাম মৃদুল

টেকনিক্যাল ইনচার্জঃ মো: রাশেদুজ্জামান রাজু

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

ওষুধের দাম কমাতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার সাথে চুক্তির উদ্যোগ ট্রাম্পের